সর্বশেষ

ঘূর্ণিঝড় আম্ফান দূর্গত এক হাজার পরিবারের পাশে হাসিমুখ

ঢাকা : খাদ্য সহায়তা নিয়ে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান দূর্গত এক হাজার শিশু ও পরিবারের পাশে দাড়িয়েছে হাসিমুখ সমাজ কল্যাণ সংস্থা। সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি, শ্যামনগর ও কলারোয়া উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার দরিদ্র পরিবারগুলোর মাঝে তিন দফায় এই সহায়তা বিতরণ করা হয়।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সাতক্ষীরা সরকারী কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মহীতোষ কুমার নন্দীর নেতৃত্বে স্থানীয় ২৮ জন স্বেচ্ছাসেবী এই কার্যক্রম পরিচালনায় অংশ নেন। সহায়তা প্যাকেজে ছিলো ৫ কেজি চাল, ৫০০ গ্রাম ডাল, দুই কেজি আলু, ভোজ্য তেল ৫০০ গ্রাম, পেঁয়াজ ৫০০ গ্রাম, লবণ এক প্যাকেট ও একটি সাবান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২০ মে ঘূর্ণিঝড়ের পর ক্ষতিগ্রস্থ দরিদ্র পরিবারের মধ্যে জরুরী ভিত্তিতে ওই সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত ২৯ মে থেকে শুরু হওয়া ওই কার্যক্রমের প্রথম দফায় আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের হাজরাখালী, মাড়িয়ালা, নোয়াকুড়ুর মাথা, কলিমাখালি, নাছিমাবাদ, লাঙলদাড়িয়া ও হিজলিয়ায় (প্রতাপনগর ইউনিয়ন) ১২৫টি বানভাসী পরিবারের মাঝে সহায়তা প্যাকেজগুলো বিতরণ করা হয়। এরপর ২ জুন থেকে শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী, বুড়িগোয়ালিনী, পদ্মপুকুর ও গাবুরা ইউনিয়নের ১১টির অধিক গ্রামে ৩০০টি খাদ্যপণ্য প্যাকেজ বিতরণ করা হয়েছে। সর্বশেষ গত ৬ জুন ৫০০টি খাদ্যপণ্যের পাকেজ বিতরণ করা হয়েছে। এরমধ্যে কলারোয়া উপজেলার কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নে ১২৫টি পরিবার রয়েছে।

এ বিষয়ে হাসিমুখ সমাজ কল্যাণ সংস্থার কো-ফাউণ্ডার নুসরাত একা জানান, করোনা মহামারী জনজীবনে প্রভাব ফেলার শুরু থেকেই সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের করোনা-কালীন খাদ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কার্যক্রম শুরু করে হাসিমুখ। গত মার্চ মাস থেকেই সংগঠনের সকল স্বেচ্ছাসেবী একযোগে কাজ করছেন। তারা ২০০ সুবিধাবঞ্চিত শিশুর পরিবারকে পাক্ষিক খাদ্য সহায়তা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় সংস্থাটি ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলীয় এলাকায় মানবিক বিপর্যয় দেখা দিলে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়। এই কার্যক্রমে একটি সুপ্রতিষ্ঠিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিপর্যায়ের সহযোগীতা রয়েছে বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
###

পার্লামেন্টনিউজবিডি.কম, ১৯ জুন ২০২০ ইং

Print Friendly, PDF & Email
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

Be the first to comment on "ঘূর্ণিঝড় আম্ফান দূর্গত এক হাজার পরিবারের পাশে হাসিমুখ"

Leave a comment

Your email address will not be published.


*