ঢাকা : সমাজ সেবায় বিশেষ অবদান রাখায় কীর্তিমান নারী সম্মাননা-২০২১ পেয়েছেন বেসরকারী উন্নয়ন সংগঠন সমাজ কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা (স্কাস) চেয়ারম্যান জেসমিন প্রেমা। রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালের ক্রিস্টাল বল রুমে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাকে এই সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
আজ রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ইউনাইটেড মুভমেন্ট ফর হিউম্যান রাইটস আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নারী ও মানবাধিকার আন্দোলনের নেত্রী সংসদ সদস্য আরমা দত্ত। ইউনাইটেড মুভমেন্ট ফর হিউম্যান রাইটস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লুৎফুল আহসান বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. হামিদা খানম।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সংসদ সদস্য আরমা দত্ত বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এবারের আন্তর্জাতিক নারী দিবস বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। নারী সমাজের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, নারী অধিকার রক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন ও সমতা সৃষ্টির জন্য সরকারী ও বেসরকারী সংস্থাগুলো কাজ করছে। ফলে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে নারী নেতৃত্ব আরো বেশী অগ্রসর হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সম্মাননা গ্রহণের পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে উন্নয়ন কর্মী জেসমিন প্রেমা নারী দিবসের ওই সম্মাননা সমাজের সুবিধা বঞ্চিত নারীদেও প্রতি উৎস্বর্গ করেন। তিনি বলেন, একটি নারী প্রধান সংস্থার চেয়ারম্যান হিসেবে স্কাসের এই অর্জন শুধু আমার নয়, এটি সমগ্র নারীদের অর্জন। নারীদের এখন সামনে আসার সময়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সেই পরিবেশ নিশ্চিত করেছেন। তাই সকল নারীকে কাজের মাধ্যমে নিজের অবস্থান তৈরী করে নিতে হবে।
উল্লেখ্য, একজন সমাজ সচেতন লড়াকু মানুষ জেসমিন প্রেমা। তিনি বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠনের সাথে সরাসরি যুক্ত রয়েছেন। সেগুলো হচ্ছে- ফেডারেশন অব এনজিও’স ইন বাংলাদেশ (এফএনবি), বাংলাদেশ মানববাধিকার সমন্বয় পরিষদ (বামাসফ), পিপল হেলথ্ মুভমেন্ট (পিএইচএম), বাংলাদেশ ইন্টার-রিলিজিয়াস কাউন্সিল ফর পিস এন্ড জাস্টিস (বিআইসিপিএজে)। আর বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য তিনি অর্জন করেছেন মানবাধিকার সোসাইটি কর্তৃক মানবাধিকার সম্মাননা-২০১১, এনজিও পার্সোনালিটি কবি জীবনানন্দ দাশ সম্মাননা-২০১২, সমাজ সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সম্মাননা স্মারক-২০১২, সাপ্তাহিক সমধারার উদ্যোগে উন্নয়ন সংগঠক হিসাবে গুণীজন সম্মাননা-২০১১, ভাষা স্মৃতি সন্মাননা-২০১৩, ইন্দিরা গান্ধী পদক-২০১৫ এবং ২০২০ সালে মহাত্মা গান্ধী পুরস্কার। সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও তার কাজের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
###
পার্লামেন্টনিউজবিডি.কম, ১৪ মার্চ ২০২১ ইং
Be the first to comment on "কীর্তিমান নারী সম্মাননা পেলেন জেসমিন প্রেমা"