ঢাকা : জলবায়ূ পরিবর্তনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত খুলনার সাড়ে ৩ হাজার হত দরিদ্র পরিবারের সাড়ে ১৬ হাজার মানুষের বিকল্প কর্মসংস্থান ও অভিযোজনে কাজ করবে ইনহান্সিং রিজেলিয়েন্স অব কোস্টাল কমিউনিটি (ইআরসিসি) প্রকল্প। ইআরসিসি অর্থাৎ উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর টেকসই সক্ষমতা বৃদ্ধি নামের এ প্রকল্পের মাধ্যমে জেলার কয়রা ও দাকোপ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে জলবায়ূ সহনশীল কৃষির প্রচলন, হস্তশিল্প, কারিগরী ও ভোকেশনার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
আজ সোমবার দুপুরে খুলনার একটি অভিজাত হোটেলে প্রকল্প পরিচিতি সভায় এ তথ্য জানানো হয়। কোরেন ইন্টারন্যাশনাল কোপারেশস এজেন্সীর অর্থায়নে বেসরকারি সংস্থা সুশীলন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ২০২৩ সালের ৩১ডিসেম্বর প্রকল্পটি শেষ হবে।
সুশীলনের উপদেষ্টা শেখ আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন সুশীলনের প্রধান নিবার্হী মোস্তফা নুরুজ্জামান। প্রকল্পের ফোকাল শাহিনা পারভিনের সঞ্চালনায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সাঈদ মাহমুদ রিয়াদ। বক্তব্য দেন কনসার্ন ওয়াল্ডওয়াইডের প্রকল্প পরিচালক গিটা ফিটজগারল, কৃষি উপ-পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন, মার্কেটিং কর্মকর্তা আব্দুস সালাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, জলবায়ূ পরিবর্তনের সবচেয়ে প্রভাব সবচেয়ে বেশী পড়েছে কৃষি ক্ষেত্রে। কৃষি উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে ও কৃষি ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ হ্রাস পাচ্ছে। ফলে দরিদ্র জনগোষ্ঠী বেঁচে থাকার জন্য শহরমুখী হচ্ছে। তারা শহরের বস্তি এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ জীবন যাপন করছে। প্রকল্পটি অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও এসডিজি বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দূর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখবে।
##
পার্লামেন্টনিউজবিডি.কম, ০৮ নভেম্বর ২০২১ ইং
Be the first to comment on "জলবায়ূ পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত খুলনার ৩৫০০ পরিবারের জন্য সুশীলনের ইআরসিসি প্রকল্প"