ঢাকা: জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে উপকূলীয় জনপদকে রক্ষায় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের পাশাপাশি বিশ্বঐতিহ্য সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। তিনি বলেছেন, সুন্দরবন অঞ্চল এখন প্রায় সম্পূর্ণভাবে বনদস্যু মুক্ত হয়েছে বর্তমান সরকারের বিচক্ষণ পদক্ষেপের ফলে। সরকার আত্মসমর্পণকারী বনদস্যুদের পুনর্বাসন ও বনের অপরাধ দমনের উদ্যোগের পাশাপাশি সেখানে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকার বিকল্প ব্যবস্থা করেছে।
গতকাল ১৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় উন্নয়ন সংগঠন সুশীলন-এর প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী মহলের অপরিকল্পিত লোনা পানির চিংড়ি চাষ, নদী শাসন ইত্যাদির ফলে দেশের উপকূলীয় অঞ্চল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এরফলে এলাকাবাসীদের নদী ভরাট, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, বেড়ি বাঁধ ভেঙ্গে ব্যাপক এলাকা প্লাবিত এবং জলাবদ্ধতার সৃষ্টিসহ নানান সমস্যা মোকাবেলা করতে হচ্ছে। বর্তমান সরকার এই খাল পুনর্খনন, নদীর নাব্যতা বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ নিয়েছে। বিশ^ ঐতিহ্য সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষার পাশাপাশি রয়েলে বেঙ্গল টাইগার সুরক্ষিত রাখার উদ্যোগ নিয়েছে।
সাক্ষাৎকালে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ‘সুশীলন’-এর নির্বাহী প্রধান মোস্তফা নুরুজ্জামান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে উপকূলের জীবন-জীবিকার উপর। কৃষি উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এতে কৃষি ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ হ্রাস পাচ্ছে। এতে সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীলতা বাড়ছে। যা সুন্দরবনকে হুমকির মুখে ফেলছে। এই অবস্থা পরিবর্তনের জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলো কাজ করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সাক্ষাৎকালে আরো উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, সাংবাদিক সাকিলা পারভীন, সুশীলনের সহকারী পরিচালক শাহিনা পারভীন, সচেতন সংস্থার মোসাদ্দেক হোসেন প্রমূখ।
এ সময় মন্ত্রীর কাছে ‘সুশীলন’-এর ৩০ বছর পূর্তি মাসব্যাপী অনুষ্ঠানের ক্রেস্ট ও স্যুভেনীর হস্তান্তর করা হয়। ভার্চুয়ালি আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানের সমাপনীতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশমন্ত্রী।
###
পার্লামেন্টনিউজবিডি.কম, ১৭ জানুয়ারি ২০২২ইং।
Be the first to comment on "জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে উপকূলীয় জনপদ রক্ষা করা হবে : পরিবেশ মন্ত্রী"