সর্বশেষ

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ল্যান্ডফিল ধারণা নিয়ে ভাবতে হবে : সাবের হোসেন চৌধুরী

ঢাকা : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, শহরের ৫০ শতাংশ বর্জ্য সংগ্রহ হচ্ছে না। ফলে এসব বর্জ্য শহরে দূষণ ঘটাচ্ছে। এ ছাড়া ঢাকার আশপাশের ল্যান্ডফিলগুলো থেকে প্রচুর পরিমাণ মিথেন নিঃসরণ হয়। এটা কার্বন ডাই অক্সাইডের থেকে ১০০ গুণ বেশি ক্ষতিকারক। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমাদের ল্যান্ডফিল ধারণা নিয়ে ভাবতে হবে। ক্লাইমেট জাস্টিসের কথা বলি, এখানে তো আমরা নিজেরাই দূষণ করছি।

পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবে বৃহস্পতিবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত ফোর আর রোডম্যাপ উপস্থাপন শীর্ষক সভায় এসব কথা বলেন তিনি। দূষণমুক্ত ঢাকা নগরী গড়তে ডিএসকে কনর্সোটিয়াম কর্তৃক বাস্তবায়িত ঢাকা কলিং প্রকল্পের উদ্যোগে এই সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলেন, দেশের বেশিরভাগ শহরে বর্জ্য সংগ্রহের দক্ষতা ৫০ শতাংশেরও কম। পচনশীল বর্জ্য শহুরে জীবনযাত্রাকে অত্যন্ত বিপজ্জনক করে তুলেছে। কঠিন বর্জ্যের দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রান্তিক মানুষ। বিশেষ করে বস্তি এলাকায় পড়ে থাকা বর্জ্যের কারণে নিম্নআয়ের মানুষেরা দুর্বিষহ ভোগান্তির সম্মুখীন হয়। যদি কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা টেকসইভাবে পরিচালিত না হয়, তবে বেশিরভাগ শহর বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। এমন পরিস্থিতিতে কঠিন বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনা জরুরি হয়ে পড়েছে।

সভায় বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, দেশে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্য অর্জনে সম্প্রতি কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা-২০২১ পাস হয়েছে। বিধিমালায় যুগান্তকারী বেশ কিছু পদক্ষেপ গৃহীত হলেও সামগ্রিকভাবে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সরকার কি কর্মকৌশল বা কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করেছে, তার কোনো সুস্পষ্ট পথরেখার ধারণা পাওয়া যায় না। ২০১৪ সালের বর্জ্য ডাটাবেসে করা অনুমান অনুসারে, ২০২৫ সালে মোট বর্জ্য ৪৭ হাজার টন উৎপন্ন হবে। যদি এই প্রবণতা অব্যাহত থাকে তবে ২০৩০ এবং ২০৪০ সালের মধ্যে মোট কঠিন বর্জ্য উৎপাদন যথাক্রমে ৫৭ হাজার ও ৭৭ হাজার টন ছাড়িয়ে যাবে।

দুস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের (ডিএসকে) নির্বাহী পরিচালক ডা. দিবালোক সিংহের সভাপতিত্বে সভায় বক্তৃতা করেন সংসদ সদস্য মো. শাহে আলম, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, কোয়ালিশন ফর দ্যা আরবান পুওরের (কাপ) নির্বাহী পরিচালক খোন্দকার রেবেকা সান ইয়াত, গবেষক আমিনুর রসুল, ঢাকা কলিং প্রকল্পের পরিচালক মাহবুল হক, বস্তিবাসীর অধিকার সুরক্ষা কমিটির কেন্দ্রীয় সভাপতি হোসনে আরা বেগম রাফেজা প্রমুখ।

পার্লামেন্টনিউজবিডি.কম, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং

Print Friendly, PDF & Email
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

Be the first to comment on "বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ল্যান্ডফিল ধারণা নিয়ে ভাবতে হবে : সাবের হোসেন চৌধুরী"

Leave a comment

Your email address will not be published.


*