ঢাকা : অর্থনৈতিক মুক্তি ও সমাজ বিনির্মাণে জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা। তারা বলেছেন, স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। আর মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
আজ সোমবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে উন্নয়ন সংস্থা ‘গুড নেইবারস-বাংলাদেশ’ (জিএনবি) আয়োজিত আরবান ভলান্টিয়ার প্ল্যানিং সেমিনারে তারা এসব কথা বলেন। জিএনবি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর এম মাঈনউদ্দিন মইনুলের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তৃতা করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আজহারুল ইসলাম খান, ইউএন ভলেনটিয়ার-বাংলাদেশের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মো. আকতার উদ্দিন, অপরাজেয়-বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ওয়াহিদা বানু, জাতীয় কন্যা শিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক নাসিমা আক্তার জলি, শিশু সংগঠন ‘এক রঙা এক ঘুড়ি’র নির্বাহী পরিচালক মাসুদুল ইসলাম নীল, যুব সংগঠক দীপ্তি চৌধুরী, জিএনবি’র টিম ম্যানেজার রাজিয়া সুলতানা প্রমূখ।
সেমিনারে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আজহারুল ইসলাম খান যুব শক্তিকে কাজে লাগাতে সরকারের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দেশের প্রধান চালিকাশক্তি যুব সমাজ। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে তাদের প্রয়োজন মাফিক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ঋণ সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কিন্তু সচেতনতার অভাবে অনেকেই সরকারি ও বেসরকারি সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই যুব সমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে সকলকে স্বেচ্ছাসেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে জিএনবি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর এম মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেন, স্বেচ্ছাসেবা অনেক গর্বের একটি কাজ। একটি সংগঠিত প্ল্যাটফর্ম তরুণ স্বেচ্ছাসেবকদের জ¦লে ওঠার জন্য যথেষ্ট। এজন্য যুবদের দক্ষতার বিকাশ প্রয়োজন। যুব স্বেচ্ছাসেবকদের একটু সুযোগ করে দিতে পারলে তারা জাতি গঠন ও সমাজ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে। তিনি আরো বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত দেশের উন্নয়নে ছাত্রদের পড়ালেখার পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজে আত্মনিয়োগ করতে হবে। সারাবিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন ও আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান বিকাশে আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে গুড নেইবারস প্রয়োজনীয় সহায়তা দিবে।
উল্লেখ্য, স্বেচ্ছাসেবা, নেতৃত্ব ও যুবদের চেতনা প্রসরিত করার লক্ষ্যে আয়োজিত ওই সেমিনারে শতাধিক যুব প্রতিনিধি অংশ নেন। তারা আগামী দিনের স্বেচ্ছাসেবামূলক শহর এলাকায় কাজের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন। এছাড়া সেমিনারের শুরুতে সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন জিএনবি’র স্বেচ্ছাসেবক প্রতিনিধিরা। ১৯৯৬ সাল থেকে বাংলাদেশের শিশু, নারী ও যুবকদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে জিএনবি।
###
পার্লামেন্টনিউজবিডি.কম, ২৮ নভেম্বর ২০২২
Be the first to comment on "জিএনবি’র সেমিনার : সমাজ বিনির্মাণে জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা বাস্তবায়নের আহ্বান"