সর্বশেষ

ডিনেট আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠক : পরিষেবার অভাবে কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে

ঢাকা : পরিষেবার অভাবে কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন বিশেজ্ঞরা। তারা মানসিক সুস্থতার দিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, বয়ঃসন্ধিকালে, কিশোর-কিশোরীরা শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিকভাবে অনেক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়। এই পরিবর্তন কিশোর-কিশোরীদের তাদের জীবনযাত্রার অবস্থা, কুসংস্কার, বর্জন বা সমর্থন এবং পরিষেবার অভাবে মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলতে পারে। যা মানসিক, আচরণগত, এমনকি নিজের ক্ষতি করার মতো বিভিন্ন ঝুঁকির কারণ হতে পারে।

আজ সোমবার রাজধানীর বাবর রোডে উন্নয়ন সংস্থা ‘ডিনেট’ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত গোলটেবির বৈঠকে এসব কথা বলেন বক্তারা। তারা মানসিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে একটি নতুন অপারেশন পরিকল্পনার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, মানসিক স্বাস্থ্যের জটিল সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী এবং শিক্ষা ক্ষেত্রের সম্মানিত বিশেষজ্ঞদের একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। এ সম্পর্কিত স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে পারস্পরিক আলোচনা ও সহযোগিতা বাড়াতে হবে। বিশেষ করে. কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য সবার আগে তাদের ক্ষমতায়ন করতে হবে। পজিটিভ প্যারেন্টিংকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

ইউনিসেফের সহযোগিতায় ডিনেট আয়োজিত ‘কিশোর মানসিক স্বাস্থ্য; কিশোর-কিশোরীদের মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করার পথে প্রতিবন্ধকতা ও সম্ভাব্য সমাধান’ শীর্ষক ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ডিনেটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক এম. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, ডিনেট কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টিকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে। এ জন্য নানা কর্মসূচি পালন করছে এবং ভবিষ্যতেও এই ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।

বৈঠকে মূল বক্তব্য উত্থাপন করেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথের শিশু কিশোর ও পারিবারিক মনোরোগবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হেলাল উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী প্রতি ৭ জনের মধ্যে অন্তত একজন কিশোরের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে। মানসিক স্বাস্থ্য শুধুমাত্র কোনো মানসিক ব্যাধি না থাকাই নয়। প্রত্যেকের, বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীদের মানসিক সুস্থতার বিষয়। তাই কিশোর মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি ও সংশ্লিষ্টদের দক্ষতা বাড়ানো প্রয়োজন।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ডা. সাদিয়া আফরিন বলেন, বাংলাদেশে এখনো ৯৮ দশমিক তিন শতাংশ পরিষেবার ব্যবধান রয়েছে। যা কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

ইউনিসেফ বাংলাদেশের মাতৃ ও কিশোরী স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্য কার্যক্রমে সাফল্যের জন্য কমিউনিটি প্রস্তুতি, বাস্তবায়ন গবেষণা ও কর্ম গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। এ বিষয়ে সম্মিলিতভাবে কাজ করা দরকার।

কিশোর-কিশোরীদের মানসকি স্বাস্থ্যের উন্নয়নে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ তুলে ধরে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ইসমত জাহান বলেন, রাজধানীর ৪৩টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে সহায়ক কাউন্সেলিংয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয় কিশোর-কিশোরীদের জন্য সংগঠন করেছে এবং সংস্থাগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
###

পার্লামেন্টনিউজবিডি.কম, ১৩ নভেম্বর ২০২৩ ইং

Print Friendly, PDF & Email
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

Be the first to comment on "ডিনেট আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠক : পরিষেবার অভাবে কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে"

Leave a comment

Your email address will not be published.


*