ঢাকা : ‘ইন্টারন্যাশনাল ডে অব জিরো ওয়েস্ট’ উপলক্ষে আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলেছেন, বর্তমান সরকার পরিবেশ সুরক্ষায় বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করার ঘোষণা দিয়েছে। ওই ঘোষণা বাস্তবায়নের জন্য জিরো ওয়েস্ট নীতি গ্রহণ করার বিকল্প নেই। তাই জিরো ওয়েস্ট নীতি প্রণয়নে সরকারকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
আজ শনিবার (৩০ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কোয়ালিশন ফর দ্য আরবান পুওর (কাপ), নারী মৈত্রী ও সীপ আয়োজিত ওই মানববন্ধন ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক আমিনুর রসুল বাবুল। উন্নয়ন কর্মী মাহবুল হকের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে ‘ইন্টারন্যাশনাল ডে অব জিরো ওয়েস্ট’-এর তাৎপর্য ও বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন উন্নয়ন গবেষক মো. রকিবুল ইসলাম।
সমাবেশে বক্তৃতা করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মুশতাক হোসেন, বাপার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. কামরুজ্জমান মজুমদার, লিডোর নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ হোসেন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন আন্দোলনের (পরিজা) সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল, ইনসাইটসের সিইও নিগার রহমান, গ্রীন ভয়েসের সমন্বয়ক হুমায়ূন কবীর সুমন, নারী মৈত্রীর প্রগ্রাম কো-অর্ডিনেটর খাদিজা আক্তার, বস্তিবাসীর অধিকার সুরক্ষা কমিটির সভাপতি হোসনে আরা বেগম রাফেজা, নদী ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের চেয়ারম্যান সীমান্ত সিরাজ, নগর দরিদ্র বস্তিবাসীর উন্নয়ন সংস্থার ফাতেমা আক্তার, কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড প্রগ্রাম ডিরেক্টর জ্যোতিরাজ পাত্র, সিপের ম্যানেজার ফারজানা আজম প্রমুখ।
কর্মসূটিতে উত্থাপিত দাবিনামায় বলা হয়, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সকল নীতিমালার পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সব অঙ্গীকারগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে। মাটি-পানি-বায়ু দূষণ রোধে প্লাস্টিকের ব্যবহার, বিশেষত সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের উৎপাদন ও ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে।
প্লাস্টিকের বিকল্প পণ্যের উৎপাদন ও বাজার তৈরিতে প্রয়োজনে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দিতে হবে। ভোগ ও উৎপাদন পদ্ধতিকে একটি পরিকল্পিত ঘূর্ণায়মান (সার্কুলার) ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে এবং উৎপাদনকারীর সম্প্রসারিত দায়িত্ব (ইপিআর) সম্পর্কিত একটি গাইডলাইন প্রণয়ন করতে হবে।
দাবিনামায় আরো বলা হয়, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্য সম্মত টয়লেট ও পয়োনিষ্কাশনের টেকসই ও সাশ্রয়ী ব্যবস্থা করতে হবে। বর্জ্য কর্মীদের জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা, স্বাস্থ্য বীমা, স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ও নিরাপদ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে।
শুষ্ক মৌসুমে সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস, ওয়াসা এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে দূষিত শহরগুলোতে প্রতিদিন দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর পর পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করতে হবে। অবৈধ ইটভাটাগুলো বন্ধ করে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার এবং বিকল্প ইটের প্রচলন বাড়াতে হবে এবং ব্যক্তিগত গাড়ি এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যত্রতত্র বর্জ্য ফেলা, বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ এবং বর্জ্য দিয়ে অবৈধভাবে খাল-বিল, জলাশয়, নিম্নভূমি ইত্যাদি ভরাট বন্ধ করতে হবে। বর্জ্য অব্যবস্থাপনার অভিযোগ জানানোর জন্য একটি অভিযোগ সেল গঠন করতে হবে।
পর্লোমেন্টনিউজবিডি.কম, ৩০ মার্চ, ২০২৪ ইং
Be the first to comment on "বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করতে জিরো ওয়েস্ট নীতি গ্রহণ জরুরি : কাপ"