ঢাকা : দক্ষিণ খুলনার প্রত্যন্ত গ্রামের ঐতিহ্যবাহি প্রতিষ্ঠান অনির্বাণ লাইব্রেরির উন্নয়নে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) থেকে ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্ষ্যর ডিও লেটারের প্রেক্ষিতে এই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
খুলনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লেখা এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব ড. জুলিয়া মঈন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত বরাদ্দপত্রে বলা হয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থ বছরের এডিপির আওতায় উন্নয়ন সহায়তা থেকে সংরক্ষিত উপখাত হতে প্রতিমন্ত্রীর অভিপ্রায় অনুযায়ী খুলনা জেলা পরিষদের অনুকূলে ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলো। যা খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার মামুদ কাটী গ্রামের অনির্বাণ লাইব্রেরি’র উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রতিমন্ত্রীর অভিপ্রায়ে বরাদ্দ দেওয়া ওই টাকার চেক খুলনা জেলা পরিষদ থেকে দেওয়া হবে। বরাদ্দকৃত অর্থ অনির্বাণ লাইব্রেরির ভবণ নির্মাণ কাজে ব্যয় হবে। ইতোমধ্যে লাইব্রেরি ভবনের দুইটি তলার নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে তৃতীয় তলার কাজ চলছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের শুরুতে এলজিআরডি মন্ত্রণালয় থেকে এক লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিলো।
লাইব্রেরির উন্নয়নে বরাদ্দ প্রদান করায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্ষ্যসহ সরকারের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন অনির্বাণ লাইব্রেরির সভাপতি অধ্যাপক কালিদাশ চন্দ্র চন্দ। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, সকলের সহযোগিতায় অনির্বাণ লাইব্রেরি আলোকিত মানুষ গড়তে আরো বেশী ভূমিকা রাখবে।
উল্লেখ্য, জেলা সদর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দুরে কপোতাক্ষ পাড়ের গ্রাম মামুদ কাটীতে ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত অনির্বাণ লাইব্রেরি এলাকার শিক্ষা-সংস্কৃতির বিকাশ ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে। খুলনা-সাতক্ষীরা অঞ্চলে সামাজিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুপরিচিত এই লাইব্রেরি শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক ঘূণিঝড় আম্ফান ও করোনা মোকাবেলায় বিশেষ ভূমিকা রাখছে। ২০১৫ সালে লাইেব্রেরির রজত জয়ন্তী অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য স্বপন ভট্টাচার্য্য।
###
পার্লামেন্টনিউজবিডি.কম, ৪ জুন ২০২০ ইং
Be the first to comment on "অনির্বাণ লাইব্রেরির উন্নয়নে এডিপি থেকে ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিলেন প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্ষ্য"