সর্বশেষ

নির্যাতন-নিপীড়নমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে সকল সংস্থার সমন্বয় ও প্রদত্ত সেবা সম্পর্কিত তথ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে

ঢাকা: নির্যাতন-নিপীড়নমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর কাজের সমন্বয়ের পাশাপাশি প্রদত্ত সেবা সম্পর্কিত সঠিক তথ্য সমাজের অবহেলিত ও নির্যাতিত মানুষের কাছে পৌঁছানোর উপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা। বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তারা বলেছেন, ভুক্তভোগীরা সঠিক তথ্য সম্পর্কে অজ্ঞতা এবং সমন্বয়ের অভাবে অনেক সময় জনগণ প্রাপ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হন। বিশেষ করে নারীদের বঞ্চনার ঘটনা বেশি ঘটে। বঞ্চনা ও অবহেলার অবসান ঘটাতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার পাশাপাশি সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে সেবা প্রদান সংক্রান্ত সঠিক তথ্য পৌঁছে দেয়ার আহ্বান জানান তারা।
আজ রাজধানীর রায়ের বাজারস্থ ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর কৈবর্ত্য মিলনায়তনে আয়োজিত ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপিএস’র পরিচালক খন্দকার আরিফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ হোসেন খোকন। অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল লতিফ, সাংবাদিক নিখিল ভদ্র, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সমাজ কল্যান কর্মকর্তা রোকন-উজ-জামান, বিএনপিএস’র ঢাকা কেন্দ্র (পশ্চিম)’র অফিস ইনচার্জ মো. হেলাল উদ্দিন, রায়ের বাজার পরিবেশ উন্নয়ন কমিউনিটি ফোরামের সভাপতি ডা. মো. রোকনুজ্জামান, সমাজকল্যান কর্মকর্তা মোঃ শহিদুজ্জামান, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার রিনা বেগম, এ্যারিয়া ম্যানেজার (ব্রাক) নাহিদ সুলতানা, রায়ের বাজার কমিউনিটি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শিউলি আক্তার, হাজারীবাগ কমিউনিটি ফোরামের সভাপতি হোসনেয়ারা রাফেজা প্রমূখ।
সভায় বক্তারা বলেন, চলমান করোনা মহামারী স্বাস্থ্য সংকটের পাশাপাশি নারীর প্রতি সহিংসতাকেও বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। নির্যাতিত নারীদের আইনি সহয়তা প্রদান করে এমন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের হিসেবে গতবছরের তুলনায় এ বছর মার্চ-এপ্রিল মাস নাগাদ নারী নির্যাতনের ঘটনা ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনার কারণে স্বাভাবিক সেবা কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। একইসঙ্গে কর্মসংস্থান হারানো মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। যা নতুন নতুন নির্যাতন ও নিপীড়নের ঘটনার জন্ম দিচ্ছে।
বক্তারা আরও বলেন, করোনাকালীন সব ক্ষেত্রে কিছুটা স্থবিরতা দেখা দিলেও সেবাখাতগুলো যথাসাধ্য সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। অসহায় দরিদ্রদের মধ্যে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আইনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকারি-বেসরকারি বেশ কিছু সংস্থা সেবা প্রদান করে থাকে। তবে এসব সেবা কোথায় কিভাবে কাকে দেয়া হয়, বা কিভাবে পেতে পারে – সেসম্পর্কে সঠিক তথ্য তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছানো খুব জরুরি। তারা আরও বলেন, সেবা প্রাপ্তি সম্পর্কে তথ্য না জানায় প্রয়োজনে সেবা গ্রহন করা সম্ভব হয় না। সেকারণে এবিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন।
নারীসহ অবহেলিত জনগোষ্ঠির সেবা নিশ্চিত করতে স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, লিঙ্গ, ধর্ম, গোষ্ঠি, নৃতাত্ত্বিক পরিচয়, প্রতিবন্ধকতা, যৌন-পরিচতি যৌনতা নির্বিশেষে সব ধরণের ভূক্তভোগী ও সহিংসতা জয়ীর জন্য সুরক্ষা ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে হবে। ধর্ষণ-নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার ভুক্তভোগীদের মামলা পরিচালনাকালে লিঙ্গীয় সংবেদনশীল আচরণ করতে পুলিশ, আইনজীবী, বিচারক ও সমাজকর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
###
পার্লামেন্টনিউজবিডি.কম, ২৫ নভেম্বর ২০২০ ইং

Print Friendly, PDF & Email
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

Be the first to comment on "নির্যাতন-নিপীড়নমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে সকল সংস্থার সমন্বয় ও প্রদত্ত সেবা সম্পর্কিত তথ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে"

Leave a comment

Your email address will not be published.


*