ঢাকা : অমানবিক জীবন থেকে মুক্তি চায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকর্মীরা। তারা বলেছেন, আমরা চাই বর্জ্যের কাজের সঠিক মূল্যায়ন করা হোক। আমাদের সন্তানরা যেন এই কাজে জীবন না কাটায়। তাদের পড়াশুনার দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। আমাদেরকে মানুষের মর্যাদা দিতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার হাজারীবাগের বালুর মাঠে আয়োজিত এক সভায় এসব কথা বলেন তারা। বস্তিবাসীর অধিকার সুরক্ষা কমিটির সভানেত্রী হোসনে আরা বেগম রাফেজার সভাপতিত্বে ও ফেরদৌস আহমেদের সঞ্চালনায় পরিচ্ছন্নতা কর্মী রাজু বলেন, আমরা যে মানুষ সেটাইতো দেখতে পাই না। আমরা ময়লা পরিস্কার করি দেখে সমাজের সবাই আমাদের খারাপ চোখে দেখে। কিন্তু আমরাও রক্ত মাংসের মানুষ। এ কাজ তো আমরা ইচ্ছা করে বেছে নেইনি।
সভায় টোকাই আরিফ বলেন, আমরা ময়লা টোকাই নিজেদের জীবনের জন্য। কিন্তু এই ময়লা টোকাইয়া আমরা শহররে পরিস্কার রাখি। আমাদের হাতের দিকে তাকাইলে বুঝবেন এই কাজ করতে আমাদের কত কষ্ট হয়। কিন্তু দিন শেষে আমরা কি পাই?
ওয়েস্ট কিপার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কুলসুম বলেন, আমরা যদি একদিন ময়লা বর্জ্য পরিস্কার না করি তবে কেউ সুন্দর পোশাক পড়ে অফিস আদালতে যাইতে পারতো না। অথচ আমাদের মর্যাদা নাই, আমাদের জীবনে কোন আনন্দ নাই।
বস্তিবাসী নেত্রী হোসনে আরা রাফেজা বলেন, সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে নগরে রোগ শোক ও সংকট লেগেই থাকে। এই রোগ শোকের সবচেয়ে বড় শিকার বর্জ্য নিয়ে যারা কাজ করে। আমরা দেখি তারা প্রায়ই অসুস্থ হয়, মারাও যায়। কিন্তু তাদের এই করুণ পরিণতির দায়-দায়িত্ব কেউ নেয় না। বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকর্মী জীবনের ও স্বাস্থ্যের নিরাপত্তার দাবি জানান তিনি।
ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের কারিগরি সহযোগিতায় দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র কনসোর্টিয়ামের ঢাকা কলিং প্রকল্প আয়োজিত সভায় আরো বক্তৃতা করেন কাপের পরিচালক মাহবুল হক, বারসিকের হেনা আক্তার রূপা, বস্তিবাসী নেতা জাকির হোসেন প্রমূখ।
###
পার্লামেন্টনিউজবিডি.কম, ১৮ জুলাই ২০২৪ ইং
Be the first to comment on "অমানবিক জীবন থেকে মুক্তি চায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকর্মীরা"